শূন্যহাতে ফিরছে বরগুনার জেলেরা Latest Update News of Bangladesh

সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:২৭ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




শূন্যহাতে ফিরছে বরগুনার জেলেরা

শূন্যহাতে ফিরছে বরগুনার জেলেরা

শূন্যহাতে ফিরছে বরগুনার জেলেরা




বরগুনা প্রতিনিধি॥ বরগুনার বামনা উপজেলার কাটাখালী গ্রামের জেলে রাজা রাম দাস। বসবাস করেন বিষখালী নদীর তীরে বেড়িবাঁধের বাইরে। মাছ ধরা তার একমাত্র পেশা।

 

 

বিষখালী নদীতে জাল ফেলে মাছ ধরে তা বিক্রি করে যা পান তা দিয়ে চলে ৬ সদস্যের সংসার। ইলিশের প্রজনন মৌসুমে সকল নদ-নদীতে সকল প্রকার মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা ধাকায় গত ২২ দিন বিষখালীতে জাল ফেলতে পারেননি তিনি। সরকারি যে সামন্য সহায়তা পেয়েছেন তাতে হয়তো ভাতের চাহিদা পূরণ হলেও অন্য খরচ মেটাতে হিমশিম খেতে হয় তাকে। নিষেধাজ্ঞা শেষে গভীর রাতে বিষখালীতে জাল ফেলেন তিনি। সারারাত জাল ফেলে সকালে মাত্র দুটি ইলিশ নিয়ে তীরে ফেরেন জেলে রাজা রাম দাস। শুধু রাজা রাম নয় সারারাত জাল ফেলে এ রকম সুকদেব দাস, নীরা দাস, কর্ন দাস, ছালাম হাওলাদার, বরুন দাসসহ বিজয় দাসের মতোন শতশত জেলেদের এভাবে শূন্যহাতে ঘরে ফিরতে হয়েছে। ফলে বিগত ২২ দিন ধার দেনা করে যারা সংসার চালিয়েছেন সেসব জেলেরা এখন হতাশ। বিষখালীতে ইলিশ ধরা না পড়লে অনেক জেলেকে না খেয়ে দিন কাটাতে হবে বলে জানিয়েছেন তারা।

 

 

জানা গেছে, গত ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশের প্রজনন মৌসুমে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ ও বাজারজাতকরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার। টানা ২২ দিন নিষেধাজ্ঞা শেষে গত বুধবার রাত ১২টার পরে বিখালীতে জাল ফেলে জেলেরা।

 

 

এদিকে আজ বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) বরগুনার বামনা উপজেলার হাটবাজারে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে ব্যবসায়ীদের কাছে বিষখালীর ইলিশ নিয়ে আসেনি কোনো জেলে। তবে সামান্য যে ইলিশ বাজারে উঠেছে তার বেশির ভাগই পাথরঘাটার বলেশ্বর নদীর মোহনার। আর এ মাছগুলোর পেটভর্তি ডিম।

 

 

বামনা উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় ৪টি ইউনিয়নে নিবন্ধিত জেলেদের সংখ্যা ১ হাজার ৬৫ জন।

 

 

 

কাটাখালী গ্রামের জেলে সুকদেব দাস বলেন, এখানের অনেক জেলে এনজিও ঋণ ও মহাজনের কাছ থেকে চড়া সুদে দাদন নিয়ে সংসার চালায়। নিষেধাজ্ঞার শুরুতে ২০ কেজি চাল সরকারি সহায়তা হিসাবে পেলেও তা অপ্রতুল। আমরা ভেবেছিলাম নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে ইলিশ মিলবে। তবে গত বুধবার রাত ও আজ সকাল থেকে জাল ফেলে তেমন ইলিশ না পাওয়ায় আমরা এখন দুশ্চিন্তায় রয়েছি।

 

 

জেলে রাজা রাম দাস বলেন, প্রতিদিন এনজিওর কিস্তি শোধ করতে হয়। এই ২২ দিন কোনোমতে ওদের ওয়াদা দিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছি। এখন নদীতে ইলিশ মিলছে না। এখন কিভাবে এই ঋণ শোধ করব সৃষ্টিকর্তা জানেন। এখন যে অবস্থা তাতে ছেলে-মেয়ে নিয়ে না খেয়ে দিন কাটাতে হবে।

 

 

বামনা উপজেলা শহরের মাছ ব্যবসায়ী মো. হানিফ বলেন, বাজারে কোনো জেলে ইলিশ নিয়ে আসেনি। আমরা পাথরঘাটা থেকে সামান্য কিছু ইলিশ এনেছি। তবে এসব ইলিশের পেটে এখন ডিমভর্তি।

 

 

বামনা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. বদরুজ্জামান বলেন, ২২ দিন নিষেধাজ্ঞা শেষে কেন জেলেরা নদীতে ইলিশ পাচ্ছে না তা আমাদের জানা নাই। তবে ধারণা করছি নিষেধাজ্ঞার আগে উত্তরের হাওয়া বইতে শুরু করা ও শীত বেশি শুরু হওয়ায় হয়তো জালে মাছ ধরা পড়ছে না।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD